ভূমিকা
বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ অর্জন প্রক্রিয়ার সাথে যুব সমাজের তারুণ্য ও মেধার সমন্বয় ঘটানোর প্রয়াসে আগামী ১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার আয়োজন করা হচ্ছে “যুব সম্মেলন ২০১৮: বাংলাদেশ ও এজেন্ডা ২০৩০ – তারুণ্যের প্রত্যাশা”। এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ (ক) গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় বসবাসরত যুবকদের মাঝে এসডিজি’র বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও জ্ঞান বৃদ্ধি; (খ) জাতীয় উন্নয়ন সম্পর্কে যুব সমাজের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তুলে ধরার জন্য একটি আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করা; এবং, (গ) জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নীতি বিষয়ক বিতর্ক ও আলোচনায় যুব এজেন্ডাকে কার্যকরভাবে দৃঢ় করা। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে দেশের সকল পরিসর থেকে আসা যুব প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্ল্যাটফর্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন সহযোগী ও অংশীজনবৃন্দ।
সম্মেলনে মূল অধিবেশন ছাড়াও বিস্তারিত আলোচনার জন্য ৮টি (আটটি) ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সমান্তরাল অধিবেশনের আয়োজন থাকবে। এগুলো হলো–
১. কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা
২. অংশগ্রহণমূলক যুব নেতৃত্ব
৩. অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ
৪. মানসম্মত শিক্ষা
৫. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন
৬. সুশাসন ও আইনের প্রয়োগ
৭. উগ্রবাদ ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ
৮. স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও স্যানিটেশন
বিষয়ভিত্তিক সমান্তরাল অধিবেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
উল্লিখিত বিষয়াবলীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যুব সমাজের অবস্থা, সুযোগ, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় চিহ্নিতকরণই সমান্তরাল অধিবেশনগুলোর মূল লক্ষ্য। এগুলো প্রতিটি বিষয়ই এসডিজি’র বিভিন্ন অভীষ্টের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। সেক্ষেত্রে, সকল অধিবেশনে থেকে এসডিজি বাস্তবায়নে যুব সমাজের ভূমিকা ও প্রত্যাশা আলোচিত হবে।
বিষয়ভিত্তিক সমান্তরাল অধিবেশন পরিচালনার নীতিমালা
১. সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমান্তরাল অধিবেশনসমূহ আয়োজন করা হবে।
২. সবগুলো সমান্তরাল অধিবেশন একই পদ্ধতিতে আয়োজিত হওয়ার সুবিধার্থে নিম্নলিখিত বিন্যাস ও কাঠামো অনুসরণ করা যেতে পারে-
২ক. বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা
প্রতিটি সমান্তরাল অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৩টি প্রতিষ্ঠান একটি করে মোট ৩টি বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করতে পারবে। প্রতিটি বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনায় মূলত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে যুব সমাজের সম্পৃক্ততা, সংশ্লিষ্ট এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিতকরণ ও তা মোকাবেলায় যুব সমাজের ভূমিকা/করণীয় ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব প্রদান করে মূল বক্তব্য প্রস্তুত করতে হবে। মূল বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য নির্ধারিত সময় ৮ মিনিট। উপস্থাপনা প্রস্তুতকরণের সুবিধার্থে একটি কাঠামো সংযুক্ত করা হয়েছে। উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যুব প্রতিনিধিদের (৩৫ বছর বয়সের নিচে) অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
২খ. সভাপতি
প্রতিটি অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে একজন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবেন। তিনি অধিবেশনের সূচনা করবেন এবং অধিবেশনের উপস্থাপিত বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করবেন। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সভাপতি নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে সহায়তা করা হবে।
২গ. সহসভাপতি
প্রতিটি অধিবেশনে একজন যুব প্রতিনিধি সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি অধিবেশনে উপস্থাপিত বক্তব্যসমূহের ওপর পর্যবেক্ষণমূলক মতামত প্রদান করবেন এবং অধিবেশনের একটি সারমর্ম প্রস্তত করবেন। এই সারমর্মটি তিনি সমাপনী অধিবেশনে উপস্থাপন করবেন। সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সহসভাপতি নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে সহায়তা করা হবে।
২ঘ. অধিবেশন সমন্বয়ক
প্রতিটি অধিবেশনের জন্য এক বা একাধিক ‘অধিবেশন সমন্বয়ক’ থাকবেন। তিনি/তারা পুরো অধিবেশন সমন্বয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
২ঙ. অধিবেশন প্রতিবেদক
বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনাপ্রদানকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অধিবেশনের প্রতিবেদন তৈরির জন্য অধিবেশনস্থলে একজন প্রতিবেদক/র্যাপোটিয়ার (rapporteur) উপস্থিত থাকতে হবে। তিনি একটি অধিবেশন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন এবং এটি সম্মেলন সচিবালয়ে প্রদান করবেন।
৩. প্রতিটি অধিবেশন দুই ঘণ্টা ব্যাপী চলবে। এক্ষেত্রে সময় বণ্টন এরূপ হতে পারে –
সূচনা ও পরিচিতি: ০৫ মিনিট;
প্রাথমিক বক্তব্যসমূহ উপস্থাপন: ৩০ মিনিট;
উন্মুক্ত আলোচনা: ৮০ মিনিট;
সারাংশ ও সমাপনী: ০৫ মিনিট।
৪. সবগুলো বিষয়ভিত্তিক সমান্তরাল অধিবেশনই বাংলায় পরিচালিত হবে। আলোচনার সুবিধার্থে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা বাংলায় প্রস্তুত করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
৫. সমান্তরাল অধিবেশনে আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ৭ অক্টোবর ২০১৮-এর মধ্যে প্ল্যাটফর্ম সচিবালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। যোগাযোগ: ০১৭১৩২৪৪৩৭৪; coordinator@bdplatform4sdgs.net